ঘরের দরোজা : নিরাপত্তা ও সৌন্দর্য


সেই প্রাচীন কাল থেকেই ঘরে দরোজা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সেই আদীম যুগের মানুষও গুহায় প্রবেশ মুখে ঢাকনা বা প্রতিরোধক হিসাবে গাছের গুড়ি বা বড় বড় পাথর ব্যবহার করতো যা দরোজারই প্রথমিক রুপ। ঘরে দরোজা ব্যবহৃত হয় মূলত নিরাপত্তার কারণে। আগের দরোজা থাকত সাধারণত দুই পাল্লা, কিন্তু এখন এক পাল্লার দরোজা খুব জনপ্রিয়Ñ তা সে মেইন দরোজাই হোক অথবা ভেতরঘরের দরোজা।

দরোজায় নানা রকম পাল্লা ব্যবহৃত হয়ে থাকেÑ যেমন কব্জাযুক্ত পাল্লা, গড়ানো পাল্লা, গুটানো পাল্লা, ঘূর্ণায়মান পাল্লা। বাড়ীর প্রধান ফটোকটি আকারে অনেক বড় হয়, সেটা এক বা একাধিক পাল্লার হতে পারে এবং মানুষ চলাচলের জন্য সেখানে একটি ছোট গেট থাকে যাকে পকেট গেট বলা হয়। দরোজার পাল্লা যে কাঠামোর সাথে যুক্ত থাকে তাকে চৌকাঠ বলে। চৌকাঠে বিশেষ কোনো ডিজাইন খুব একটা না থাকলেও দরোজার পাল্লায় নানা রকমের ডিজাইনের রেওয়াজ সেই প্রাচীন কাল থেকেই প্রচলিত, এখন বেড়েই চলেছে। ডিজাইনওয়ালা দরোজা ঘরের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দেয়।

দরজায় সধারণত উন্নত মানের কাঠ, ধাতু, কাঁচ ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। তবে প্রায় সকল কঠিন বস্তু দিয়েই দরোজা তৈরি করা যায়। দরোজার মূল আকৃতি হয়ে থাকে আয়তাকার। কখনো আবার দরোজার উপরের অংশ অর্ধ গোলাকারও হয়ে থাকে। দরোজার নির্দিষ্ট কোনো মাপ নেই, প্রয়োজন অনুসারে দরোজা অনেক বড় বা ছোট হয়ে থাকে। তবে ৭ ফুট উচ্চতার দরোজাকে আদর্শ ধরা হয়।

আগে দরোজায় খিল বা ডাশা বা ছিটকানি ব্যবহার করা হতো। আজকাল আরো নিরাপত্তার কারণে নানা ধরনের তালা বা লক ব্যবহার করা হয় যা চাবির সাহায্যে খোলা ও লাগানো হয়। কিন্তু ইদানীং ডিজিটাল ডোর লকের ব্যবহার বাড়ছে। এই ডিজিটাল লক শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড অথবা সংশ্লিষ্ট এ্যাপসের মাধ্যমে খোলা যায়।

0