পদ্মা সেতুতে বসানো হলো নতুন স্প্যান


দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে পদ্মা সেতুর কাজ। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের এই সেতুর ১১তম স্প্যানটি জাজিরা প্রান্তের ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে। আর এ স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মাসেতুর দুই প্রান্তে দৃশ্যমান হলো ১৬৫০ মিটার। এর আগে মাওয়া প্রান্তে ৪-৫ এবং ১৩ ও ১৪ নাম্বার পিলারের উপর দুটি স্প্যান বসানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিলারের উপর এই স্প্যানটি বসানো হয়।

সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে মাওয়ার কুমারভোগের বিষেশায়িত জেডি থেকে ১১তম স্প্যানটি নিয়ে শক্তিশালী ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই জাজিরারর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। সোমবার বিকালে স্প্যানটি নিয়ে জাজিরা নাওডোবা এলাকায় পৌঁছে। এরপর আজ মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পিলারের উপর তোলার কাজ শুরু হয়। 

গত বছর আরও একটি স্পেন ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের উপর বসানো হয়েছে। গত ১০ এপ্রিল ১৩ও ১৪ নং পিলারের উপর মাওয়া প্রান্তে ১০ম স্পেনটি বসানো হয়েছে। সেতুর ১১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে পদ্মাসেতুর কাজ আর একধাপ এগিয়ে যাবে। এ স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মাসেতুর দৃশ্যমান হবে ১৬৫০মিটার। 

এর আগে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮ নাম্বার পিলারের ওপর প্রথম স্প্যান, ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯ নাম্বার পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান, ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নাম্বার পিলারের ওপর তৃতীয় স্প্যান, ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নাম্বার পিলারের ওপর চতুর্থ স্প্যান, ২৯ জুন ৪১ ও ৪২ নম্বর পিলারের ওপর পঞ্চম স্প্যান ও এবং সবশেষ গত ২৩ জানুয়ারি ৩৬ ও ৩৭ বসানো হয় ৬ষ্ঠ এবং গত ২০ ফেব্রুয়ারি ৮ম স্প্যান বসানো হয়েছিল। 

২২ মার্চ জাজিরা প্রান্তে ৮ম। এর আগে গত বছর মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের উপর বসানো একটি স্প্যান বসানো হয়। সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৩ ও ১৪ নম্বর পিলারের উপর ১০ম স্প্যানটি স্থাপন করা হয়। ফলে দৃশ্যমান হয় সেতুর দেড় কিলোমিটার (১৫০০ মিটার)।  

পদ্মাসেতুর প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার। ৪২টি পিলারের উপর ৪১টি স্প্যান বসিয়ে ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মাসেতু নিমার্ণ করা হবে। ২১টি পিলার এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। স্প্যানটি বসানোর খবরে পদ্মা পাড়ের মানুষের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। 

সেতু বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি মাসেই একটি করে স্প্যান বসানো হবে। 

ইতোমধ্যে সেতুর প্রায় ৭৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে এবং চলতি বছরের মধ্যে সবকটি স্প্যান বসিয়ে সেতুটি দৃশ্যমান করে তোলা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে সেতু কর্তৃপক্ষ।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর বলেন, দোতলা এ সেতুর নিচ তলায় চলবে ট্রেন। স্থাপন করা স্প্যান গুলোয় এখন রেলের স্লাব বসানো কাজ চলছে। জাজিরা প্রান্তের স্প্যানগুলোয় ১২৮টি স্লাব বসানো হয়েছে। পুরো সেতুর ২ হাজার ৯৫৯টি স্লাব বসানো হবে। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়াডে স্পেন ও স্লাব বসানোর কাজ চলছে।

সূত্রবিডি প্রতিদিন/২৩ এপ্রিল ২০১৯/আরাফাত

0