দেশের বৃহৎ তিনটি সেতু
ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান তিনটি সেতুর পাশে আরও তিনটি নতুন সেতু নির্মাণ হচ্ছে,এগুলো হচ্ছে যথাক্রমে ২য় কাঁচপুর সেতু, ২য় মেঘনা সেতু, ২য় গোমতী সেতু। তিনটি নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪ শত ৮৬ কোটি ৯৩ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। এই অর্থ যোগান দিচ্ছে জাপান আর্ন্তজাতিক সংস্থা (জাইকা) ও বাংলাদেশ সরকার। সেতুগুলো নির্মাণ করছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওবায়শিক করপোরেশন, সিমিজু করপোরেশন এবং জেএফই ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীন সড়ক ও জনপথ (সওজ) অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে সেতু তিনটির কাজ চলছে এবং মূল কাঠামোর বেশীর ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। এখন চলছে শেষ পর্যায়ের কাজ। নতুন সেতুগুলো যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলে পুরাতন সেতু তিনটির সংস্কার কাজ শুরু হবে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বর্তমান সেতু তিনটি দুই লেনের আর সড়ক চার লেনের ফলে যানজট লেগেই থাকে। নতুন সেতু তিনটি নির্মিত হলে গুরুত্বপূর্ণ এই মহাসড়কে সেতু কেন্দ্রিক যানজট আর থাকবে না। শীতলক্ষ্যা নদীর উপর চার লেনের ৩৯৭.৩ মিটার দৈর্ঘ্যের ২য় কাঁচপুর সেতুটি নদীর ভাটিতে বিদ্যমান কাঁচপুর সেতুর পাশে নির্মিত হচ্ছে। সঙ্গে তৈরী হবে আটলেন বিশিষ্ট ৭০৩.৫ মিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক। প্রকল্প শেষে কাঁচপুরের ১ম ও ২য় সেতুতে মোট লেন হবে আটটি।
রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রাম ও সিলেটের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করতে সেতুর কাঁচপুর প্রান্তে ফ্লাইওভার ও ইন্টারসেকশন নির্মাণ করা হবে। চার লেন বিশিষ্ট ৯৩০ মিটার দীর্ঘ মেঘনা সেতু। মেঘনা নদীর উজানে বিদ্যমান সেতুর পাশে নির্মিত হচ্ছে এটি। সঙ্গে ছয় লেন বিশিষ্ট ৮৭০ মিটার দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়ক তৈরি হবে। মেঘনার দুটি সেতুতেই প্রকল্প শেষে লেন হবে ছয়টি।
১৪১০ মিটার লম্বা হয় গোমতী সেতুটি নির্মিত হচ্ছে বিদ্যমান গোমতী সেতুর পাশেই, সেই সাথে ১০ হাজার ১০ মিটার দৈর্ঘ্যের ছয় লেন বিশিষ্ট সংযোগ সড়ক তৈরি হবে।
0