দীর্ঘস্থায়ী নির্মাণে ভালো রডের বিকল্প নেই!


বাংলাদেশ এখন রড তৈরিতে শতভাগ স্বয়ংসম্পূর্ণ। ভবন নির্মাণে দেশীয় এইসব রড ব্যবহার করা হচ্ছে। ভবনের কাঠামো তৈরি হয় এই রড দিয়েই। ভবন তৈরিতে রড ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফাঁকি দিলে পস্তানো ছাড়া উপায় নেই। ভবন তৈরিতে নিম্নমানের রড ব্যবহার করলে তাতে ঝুঁকি বেশি। ভালো রড ব্যবহার করলে ভবনের ঝুঁকি থাকে না। বাজারে এখন ৩ মিলিমিটার থেকে শুরু করে ৪, ৫, ৮, ১০, ২০ ও ২৫ মিলিমিটার পর্যন্ত বিভিন্ন রড পাওয়া যায়। তবে ভবন তৈরিতে সাধারণত তিন ধরনের রডের ব্যবহার বেশী দেখা যায়। পাইলিং, স্ল্যাব, বিম বা কলাম তৈরিতে একেক ধরনের রড ব্যবহার করা হয়।

বাজারে ৪০ গ্রেড, ৬০ গ্রেড ও ৭৫ গ্রেড পর্যন্ত রড আছে। ৪০ গ্রেডের রড এখন খুব কম ব্যবহৃত হয়। ভবন তৈরিতে সাধারণত ৬০ গ্রেডের রডই বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। ৭৫ গ্রেডের রড হচ্ছে এক্সট্রিম গ্রেড, বহুতল ভবন তৈরিতে এই গ্রেডের ব্যবহার বেশি। রড সাধারণত মাইল্ড স্টিল (এমএস) ও স্টেইনলেস স্টিল (এস এস) এ দুই ধরনের হয়। ভালো রড চেনার উপায় হচ্ছে তাতে মরিচা ধরবে না বা তাতে কোনো ফাটা থাকবে না। রডে বাড়ি দিলে তা থেকে ঝুরঝুর করে লোহা পড়বে না। সাধারণত এসএস রডে চুম্বক ধরে না। এ ধরনের রডগুলো ভালো। প্লেইন রডের চেয়ে ডিফর্ম বা খাঁজ কাটা রডগুলো ভালোভাবে কংক্রিটের সঙ্গে বন্ধন তৈরি করতে পারে বলে সেই রড ব্যবহার করা উচিত।

বাংলাদেশে রড নির্মাতা হিসেবে সুনাম রয়েছে বাংলাদেশ স্টিল রি-রোলিং মিলস (বিএসআরএম), কবির স্টিল রি-রোলিং মিলস (কেএসআরএম), রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের (আরএসআরএম)। এ ছাড়া আনোয়ার ইস্পাত, মেট্রোসেম ইস্পাত, রহিম স্টিল মিলস, সীমা প্রভৃতি প্রতিষ্ঠান রড তৈরি করছে। বর্তমানে দেশে চারশ’র বেশি কারখানায় তৈরি হচ্ছে রড। এর মধ্যে ৩০টির বেশি প্রতিষ্ঠান স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে রড তৈরি করে থাকে।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রবণতার কারণে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি। তাই নিম্নমানের রড ব্যবহার করে ভবন তৈরি করলে এই ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়। অবশ্যই রডের মান নিশ্চিত হয়ে তবেই রড কেনা জরুরি। ভালো মানের রড বড় ধরনের ঝুঁকি থেকে বাঁচায়, ভালো রড বাড়ি দীর্ঘস্থায়ী করে।

0