গার্ডেন বাই দ্য বে
সিঙ্গাপুরের বৃহত্তম ন্যাশনাল পার্ক ’গার্ডেন বাই দ্য বে’। এই গার্ডেনের তিনটি অংশ, বে সেন্ট্রাল গার্ডেন যা বে ইস্ট গার্ডেন ও বে সাউথ গার্ডেনকে সংযুক্ত করেছে। প্রতিটি গার্ডেনের সামনে রয়েছে সমুদ্র জলরাশি। সেন্ট্রাল গার্ডেন বে ৩৭ একর এলাকা জুড়ে বিস্তারিত। এর সম্মুখে তিন কিলোমিটার জুড়ে আছে জল রাশি। ইস্ট গার্ডেন বে ৭৯ এলাকা নিয়ে বিস্তৃত, যার ২ কিলোমিটার সম্মুখ ভাগে রয়েছে মেরিনা রিজারভার। এখানে আছে পাঁচটি সারিবদ্ধ পানি প্রবেশের পথ যা বাতাসের গতিপথের সাথে সাথে সৈকতভূমিকে প্রসারিত করবে অথবা সংকুচিত করে। সেই সাথে গার্ডেনকে শীতল রাখে এবং অন্যান্য কর্মকা-কে প্রভাবিত করে। ইস্ট গার্ডেন বে তে রয়েছে প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপি ওয়াক ওয়ে। বে সাউথ গার্ডেন যেটা তিনটি বে গার্ডেনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। এটা প্রায় ১৩০ একর ভূমি জুড়ে অবস্থিত। কারুকার্যময় ট্রপিক্যাল হর্টিকালচার সবচেয়ে বড় শোকেসটা এই গার্ডেন সাউথ বে-তেই অবস্থিত।
সিঙ্গাপুরের জাতীয় ফুল ”ভানডা মিস জেয়াতিয়াম” দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে গড়ে উঠেছে অর্কিডের বিশাল সম্ভার। যা ফুটপাত ও রাস্তা জুড়ে রয়েছে।
গার্ডেন বাই দ্যা বে তে রয়েছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কলামবিহীন গ্লাসের তৈরি গ্রীন হাউজ, যা প্রায় ২.৫ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। দীর্ঘস্থায়ী এনার্জি এফিসিয়েন্ট টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে এখানকার আবহাওয়া সঠিক মাত্রায় রাখার জন্য। এখানে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ করে রাখা হয়, উপরের ছাদ থেকে যা পরে বিভিন্ন গাছে দেয়া হয় এবং কুলিং সিমেন্ট ঠিক রাখতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও গার্ডেন বাই দ্য বে-তে অবস্থিত সুপার ট্রিতেও এই বৃষ্টির পানি সরবারহ করা হয় বাতাস ঠাণ্ডা অথবা গরম করে সুপার ট্রির বিভিন্ন প্লান্টে দেয়ার জন্য।
ফ্লাওয়ার ডোমটি ১২৫ ফুট উচ্চতাসম্পূর্ণ। ফ্লাওয়ার ডোমটির ভিতরে সাতটি ভিন্ন ভিন্ন বাগান আছে। এখানে তাপমাত্রা সাধারণত ২৩ সেন্টিগ্রেড থেকে ২৫ সেন্টিগ্রেড রাখা হয় যা রাতে কমে খানিকটা কমে যায়। ডোমটির মধ্যে রয়েছে প্লান্ট প্রর্দশনীর আলাদা স্থান।
গার্ডেন বাই দ্যা বে-তে বিশাল বৃক্ষের মতন সুপার ট্রিজ আছে। যেগুলো গার্ডেনের অনবদ্য সৃষ্টি। এগুলো ২৮ ফুট থেকে ১৬০ ফুট পর্যন্ত লম্বা। প্রতিটি সুপার ট্রিতে রয়েছে অসংখ্য প্লান্টেশন। রয়েছে লাটিংয়ের ব্যবস্থা। এই সুপার ট্রিগুলো দিনে ভ্রমনকারীদেরকে ছায়া দেয়। রাতের বেলা অপরূপ আলোকসজ্জায় মোহনীয় হয়ে ওঠে।
গার্ডেনস বাই দ্য বে-তে ১৫ লক্ষের অধিক প্রজাতির প্লান্টেশন আছে। প্রতিটি সুপার ট্রি সৌর শক্তি সংগ্রহ করে আলোকসজ্জার কাজে লাগায়। সুপার ট্রিগুলো বাতাস নির্মল করে এবং ডোমের প্লান্টেশনগুলোতে সরবারহ করে। সুপার ট্রিগুলোর মধ্যে এলিভেটেড ওয়াক ওয়ে আছে। যেখান থেকে ভ্রমণকারীরা গার্ডেনের প্যানরেমিক এরিয়াল ভিউ দেখতে পায়। ১৫০ ফুট উচ্চতার সুপার ট্রি-তে আছে খাবারের দোকান। প্রতি রাতে সুপার ট্রিগুলো আলোকসজ্জা ও মিউজিকের সমন্বয়েএক অভূতপূর্ব শো বা প্রর্দশনীর ব্যবস্থা করা হয়।
গার্ডেন বাই দ্য বে ২০২১ সালে Worl Building পুরস্কার পায়। সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট এ্যাওয়ার্ড পায় ২০১৩ সালে। দি আউটস্টান্ডিং এচিভমেন্ট এ্যাওয়ার্ড পায় ২০১৪ সালে থিমেড এন্টারটেইনমেন্ট অ্যামোসিয়েশন কতৃক। লার্জেস্ট গ্লাস গ্রীন হাউস ফ্লোয়ার ডোম হিসেবে গ্রীনেস রেকর্ড করে ২০১৫ সালে।
হার্ডেন বাই দ্য বে’র ল্যান্ড স্কেপ আর্কিটেক্ট ফার্ম Grant Associats এবং
আর্কিটেক: Wilkinson Eyrc
0