চ্যালেঞ্জ আছে বলেই প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে ওঠার প্রেরণা পাই-রহিম গ্রুপ চেয়ারম্যান


রহিম স্টিল গৌরবময় ৬০ বছর পূর্ণ করেছে। সে উপলক্ষ্যে নির্মাণ গুরুর সাথে রহিম স্টিলের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ মহসিন এর দীর্ঘ সাক্ষাৎকার। তাঁর বাবা হাজী রহিম ব্যবসায়ী ছিলেন। মোহাম্মদ মহসিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে আমেরিকা যান এবং পড়া শেষ করে দেশে ফিরে বাবার ব্যবসাতে যুক্ত হন। এখন তিনি স্টিল জগতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

নির্মাণ গুরু: স্যার, রহিম স্টিল তো দীর্ঘ ৬০ বছর পূর্তি করলো, সেক্ষেত্রে পিছনে ফিরে তাকালে কী দেখতে পান ?

চেয়ারম্যান: আমার বাবা ১৯৫৬ সালে ব্যবসা শুরু করেন। শুরুতে উনি ছোটখাট ট্রেডার ছিলেন। এরপর বার্মাটিকের ইম্পোর্টের ব্যবসা শুরু করেন। সেই ব্যবসায় ভালো করার পর উনি কাস্টিং আয়রনের ছোট একটি ইউনিট করেন। বাবা চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করতেন এবং উনি চাইতেন উনার ছেলেরাও এই ব্যবসায় আসুক। আর সে কারণেই আমি ১৯৭৫ সালে আমেরিকা যাই পড়াশোনা করতে, ইজ্ঞিনিয়ারিং পড়া শেষ করে আমি ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে ব্যবসা শুরু করি।

নির্মাণ গুরু: শুরুতে এই ব্যবসার চ্যালেঞ্জ কী ছিল ?

চেয়ারম্যান: এই ব্যবসার শুরুটা অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল, এখনও আছে। তবে স্বাধীনতার আগে ওয়েস্ট পাকিস্তান কখনও চায়নি বাঙালীরা স্টিল ব্যবসাতে আসুক। তারা তখন ডমিনেট করতো, ব্যবসা করতে নানা ধরনের পারমিশন নিতে হতো। তারপর স্বাধীনতার পর আমরা ব্যবসাটা এগিয়ে নিই। ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশে আমরাই প্রথম (বিলেট) তৈরি করি, তখন শুধুমাত্র সরকারী প্রতিষ্ঠান চিটাগাং স্টিল মিল ছিল। সেই মিলে ছোট ছোট ছাঁচে ঢেলে বিলেট তৈরি হতো। বাংলাদেশে আমরাই প্রথম কনটিনিউয়াস প্রসেসে বিলেট তৈরি করি।

নির্মাণ গুরু: রড ও বিলেট ছাড়া আপনারা আর কী উৎপাদন করছেন ?

চেয়ারম্যান: আমরা ইন্ডাস্ট্রিজ লেভেলে ব্যবহারের জন্য অক্সিজেন এবং নাইট্রোজেন উৎপাদন করছি।

নির্মাণ গুরু: স্টিল ইন্ডাস্ট্রিজে অক্সিজেন ও নাইট্রোজেনের ব্যবহার কীভাবে হয় ?

চেয়ারম্যান: স্টিল তৈরিতে অক্সিজেন বা নাইট্রোজেন বাদেও অন্য নানা রকম উপাদানের ব্যবহার হয়। অক্সিজেন মূলত লোহা কাটতে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও অক্সিজেন মেডিক্যালে অনেক ব্যবহার হয়। নাইট্রোজেন গলিত লোহার মধ্যে দেয়া হয় যাতে গলিত লোহার মধ্যে যখন বুদবুদ ওঠে তখন লোহার মধ্যে যে গাদ থাকে তা বের হয়ে যায় এবং আয়রন পিউরিফাইড হয়। এছাড়া আগুন নেভাতেও নাইট্রোজেনের ব্যবহার হয়। অক্সিজেন-নাইট্রোজেন ছাড়াও আমরা বাংলাদেশে প্রথম এমএস PLATE তৈরি করি। যখন PLATE তৈরি শুরু করি তখন এটা একটা দুঃসাহস ছিল, কারণ এতে হিউজ ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন। তাছাড়া PLATE মার্কেটিংয়েও রয়েছে নানা অসুবিধা। যেমন PLATE তৈরিতে যা ম্যাটেরিয়াল লাগে তার সবই প্রায় ইম্পোর্ট করতে হয়, আর এসব ম্যাটেরিয়ালের ডিউটি ফি অনেক বেশী বিধায় উৎপাদন খরচ বেশী হয়। বিদেশ থেকে যখন PLATE আমদানি করা হয়, তখন দেশে উৎপাদিত PLATE এর সাথে আমদানি করা PLATE এর দাম প্রায় কাছাকাছি হয়ে যায়। ফলে ক্রেতারা দ্রব্যের মান একই হলেও বিদেশী PLATEই ক্রয় করে। যদি ম্যাটেরিয়ালের ডিউটি ফি কম হতো অথবা কর অবকাশ থাকতো তাহলে কম মূল্যে আমরা PLATE বিক্রি করতে পারতাম। তবে আমরা PLATE তৈরি করার ফলে সাধারণ ক্রেতাদের সুবিধা হয়েছে। ক্রেতারা ৫ টন বা ১০ টন খুচরা কিনতে পারছে যা আগে সম্ভব ছিল না, কারণ মুষ্টিমেয় কয়েকজন PLATE আমদানি করতো ফলে তাদের ইচ্ছামত মূল্য নির্ধারিত হতো। এখন একজন জাহাজ নির্মাতা প্রয়োজন অনুসারে লোকাল মার্কেট থেকে প্লেট কিনতে পারছেন। আমদানি করতে গেলে আপনি ১০ টন আনতে পারছেন না, আপনাকে ১০০০ টন বা অধিক আনতে হবে।

নির্মাণ গুরু: স্টিলের জন্য কোনো র’ ম্যাটেরিয়াল তো বাংলাদেশে তৈরি হয় না…

চেয়ারম্যান: না, তবে আমরা ইন্ডাস্ট্রিজ লেভেলের জন্য উৎপাদন করছি, বাংলাদেশে যা আমরাই প্রথম। ফলে এই কেমিক্যালগুলোর আমদানি ৯০% হ্রাস পেয়েছে দেশে। আমরা এই কেমিক্যালগুলো দুই বছর আগেও প্রায় তিন বছর ব্যাপী

মোহাম্মদ মহসিন

ইংল্যান্ডেও রপ্তানি করেছি। ইউরোপের বাজার মন্দা বলে এখন আর রপ্তানি হচ্ছে না।

নির্মাণ গুরু: আপনারা প্লেট, বিলেট এগুলো আমাদের দেশে প্রথম উৎপাদন করেছেন, সে ক্ষেত্রে আগামী দিনে আপনাদের ভবিষৎ পরিকল্পনা কী ?

চেয়ারম্যান: আমাদের দেশে সাধারণত কনভারসন ইন্ডাস্ট্রিজ করে সবাই। যেমন একটি র’ ম্যাটেরিয়াল এনে সেটা দিয়ে একটি পণ্যই উৎপাদন করে। পণ্যটি উৎপাদনের আগে বা পরে অন্য কোনো পণ্য উৎপাদন করে না কেউ। অর্থাৎ আমি বলতে চাচ্ছি র’ ম্যাটেরিয়াল আমরা উৎপাদন করি না, দ্বিতীয়ত একটি পণ্য উৎপাদনের পরের স্টেজের যে উৎপাদন তাও আমরা করি না বা ভাবছি না। এই ভাবনা থেকেই আমাদের উৎপাদনে আসা। আগামীতে আমরা ন্যারো স্ট্রিপ (চিকন লোহা) তৈরি করব। এছাড়াও আমরা অন্য সেক্টরেও উৎপাদনে যাব।

নির্মাণ গুরু: ন্যারো স্ট্রিপ, এটার ব্যবহার কী?…

চেয়ারম্যান: এটার ব্যবহার ব্যাপক। যেটা পাইপ তৈরি করতে লাগে, বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন সেকশনে লাগে, এছাড়া হালকা স্ট্রাকচার তৈরিতে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটা বাংলাদেশে কেউ উৎপাদন করে না। এছাড়াও আমরা রেলওয়ের জন্য ৪/৫ টা আইটেম উৎপাদন করি। আগামীতে রেলওয়ের জন্য অন্যান্য আইটেমও উৎপাদন করব। আসলে স্টিল সেক্টর ডেভেলপম্যান্ট না করলে দেশের অবকাঠামোর তেমন টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।

নির্মাণ গুরু: বর্তমানে এই ব্যবসায় আপনাদের কী কী অসুবিধা ফেস করতে হচ্ছে ?

চেয়ারম্যান: অনেকগুলো অসুবিধা নিয়েই আমাদের এগুতে হচ্ছে। যেমন ধরেন, ১০/১৫ বছর আগে যখন ইন্ড্রস্ট্রিজের জন্য সবচেয়ে অপরিহার্য পাওয়ার বা বিদ্যুতের ঘাটতি প্রকট ছিলো- তখন সরকার বললো আপনারা পাওয়ার প্লান্ট করেন, নিজেরা ব্যবহার করেন এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ দেন। আমরা পাওয়ার প্লান্ট করলাম। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লো। অথচ সরকার এখন পাওয়ার প্লান্ট নিয়ে ’স্টেপ চাইল্ড’-সুলভ আচরণ করছে। তাদের কথা আমাদের বিদ্যুতের এফিসিয়েন্সি কম। আমরা তিতাসে গিয়ে এফিসিয়েন্সি পরীক্ষা করালাম, সেখানে সরকারের পাওয়ার প্লান্টের চেয়ে আমাদের বিদ্যুতের এফিসিয়েন্সি বেশী পাওয়া গেল। অথচ আমরা সরকারের চেয়ে আড়াই গুণ বেশী দামে গ্যাস ক্রয় করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করি। আমাদের তো সিস্টেম লস নাই, রক্ষণাবেক্ষণ ভালো, ম্যানেজমেন্ট ভালো। যার ফলে আড়াই গুণ বেশী দামে গ্যাস কিনে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেও আমাদের বিদ্যুতের এফিসিয়েন্সি বেশী। আমার মনে হয় ইন্ডাস্ট্রিজের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় যে বিদ্যুৎ তার দিকে সরকারের আরো বেশী যত্নবান হওয়া খুব জরুরি।

নির্মাণ গুরু: বিদ্যুৎই কি তাহলে অন্যতম চ্যালেঞ্জ ?

চেয়ারম্যান: না না শুধু বিদ্যুৎই নয়, আরও আছে। নানা বিষয়ে সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা প্রয়োজন। একটা উদাহরণ দেই- আমি যখন দেশে আসি তখন ইন্ডিয়ার একটি প্রতিষ্ঠান ’মিত্তাল’ তাদের আমাদের চেয়ে ছোট একটা ইউনিট ছিল তারা এখন বিশ্বে তিন নম্বর প্রতিষ্ঠান, স্টিলে। এটা কী করে সম্ভব হলো ? কারণ একটা ইন্ডিয়ার সরকার এ সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে যাতে ইন্ডাস্ট্রিজগুলো ফ্লারিস করে। যেহেতু আমাদের র’ ম্যাটেরিয়ালগুলো বিদেশ থেকে আনতে হচ্ছে যার ট্যাক্স অনেক বেশী, এছাড়া লোকাল মার্কেটে যদি (র’ ম্যাটেরিয়াল বাদে) বিদেশী পণ্যের ট্যাক্স বেশী ধরা হয় তাতে লোকাল ইন্ডাস্ট্রিজগুলো ভালো করবে। যেমন ধরেন টায়ারের উপর ৪০% ট্যাক্স, পাইপের উপর ৮০% আমদানী ট্যাক্স বহাল আছে, ফলে লোকাল উৎপাদনকারী ইন্ডাস্ট্রিজগুলো লাভবান হচ্ছে। আমরা সরকারের কাছে কোনো হ্যান্ড আউট চাই না, আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব নীতিমালা। ১০/১৫ বছরের কর অবকাশ বা বিশেষ ধরনের সুযোগ-সুবিধা না দিলে তো দেশের ইন্ডাস্ট্রিজগুলো বুস্ট করবে না।

নির্মাণ গুরু: এসব ছাড়া আর কোনো চ্যালেঞ্জ…

চেয়ারম্যান: সবচেয়ে বড় অসুবিধা অবকাঠামো। যেমন ধরেন আমাদের দেশে যে সড়ক ব্যবস্থা সেখানে ১০/১২ টনের বেশি মালামাল একটি ট্রাকে পরিবহন করা যায় না, অথচ বিদেশে কমপক্ষে ২০/২৫ টন মালামাল ট্রাকে পরিবহন করা যায়, কিন্তু খরচ একই। ফলে আমাদের উৎপাদন খরচ বেশী পড়ে যায়। এছাড়া আছে প্রশাসনিক ঝামেলা। নাই নদীপথ ব্যবহারের পর্যাপ্ত সুবিধা। বিদেশ থেকে একই জাহাজের কন্টেইনারে করে যে মালামাল আনছি তাতে ইন্ডিয়ার চেয়ে আমাদের কন্টেইনারের ভাড়া ৪০% বেশী দিতে হয়। কারণ বন্দর থেকে মালামাল খালাস করতে ইন্ডিয়াতে যদি লাগে ৩/৪ দিন, আমাদের লাগে ২০/২৫ দিন। সুতরাং বন্দরের ব্যবস্থাপনা আধুনিকায়ন করতে হবে। কন্টেইনারে মালামাল পরিবহনে খরচ বেশী লাগে তাই সেক্ষেত্রে যদি আমরা ৪/৫ জন মিলে বাল্কে করে মালামাল আনতে পারি, তাহলে খরচ অনেক কম পড়তো- আর এতে উৎপাদন খরচও অনেক কমে যেত। এর জন্য পায়রা বন্দরের মত বন্দর তৈরি করা খুব জরুরি। অর্থাৎ অবকাঠামোগুলো জরুরিভিত্তিতে নির্মাণ দরকার। এটা না হলে আমরা গ্লোবাল চ্যালেঞ্জ সঠিক ভাবে মোকাবেলা করতে পারবো না।

নির্মাণ গুরু: আপনাদের পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণে বিএসটিআই-এর ভূমিকা কী ?

চেয়ারম্যান: বিএসটিআই-এর পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয় ইকুইপমেন্ট নাই। তাদের সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি। বিএসটিআই-এর অনেক পরীক্ষা আমরাই করে দেই। এমনকি কিছু র’ ম্যাটেরিয়াল যা আমরা ইমপোর্ট করি সেগুলোর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সক্ষমতা বুয়েটেরও নাই। সেসব পরীক্ষা করাতে ভারতে পাঠাতে হয়। এতে টাকা ও সময় দুটোই অপচয় হয়। তাই আমাদের সরকারের কাছে অনুরোধ বিএসটিআই-এর জন্য আধুনিক ইকুইপমেন্টগুলো সরবরাহ করা হোক। এতে করে আমরা আরো মানসম্মত পণ্য তৈরি করতে পারবো।

নির্মাণ গুরু: যারা নতুন উদ্যোক্তা হচ্ছে তারা স্টিল সেক্টরে আসছে না, এর কারণ কী ?

চেয়ারম্যান: স্টিল সেক্টরের জন্য অনেক বেশী ক্যাপিটাল লাগে, সেই সঙ্গে আমাদের দেশের বাজারও কম, এবং চ্যালেঞ্জিং। ফলে নতুনরা এই চ্যালেঞ্জ নিতে চায় না।

নির্মাণ গুরু: স্যার, যারা ইঞ্জিনিয়ারিং বা অন্য কোনো ট্রেডে পড়াশোনা করে স্টিল সেক্টরে ক্যারিয়ার গড়তে চায় তাদের জন্য আপনার কোনো উপদেশ বা পরামর্শ আছে কিনা?

চেয়ারম্যান: প্রথম কথা হলো পড়াশোনা শেষ করে ডিগ্রি নিলেই কিন্তু পড়াশোনা শেষ হয় না। তাদেরকে পড়াশোনার মধ্যেই থাকতে হবে। এছাড়া ফিন্যান্স সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে। এ্যাসেট এবং লায়বিলিটিজ বিষয়ে জানতে হবে। ইনোভেটিভ হতে হবে, স্বপ্নটা দেখতে হবে, মাইন্ডটাকে ওপেন রাখতে হবে। থিংক আউট অফ দ্যা বক্স। ফিল্ড তৈরি করতে হবে। শুধু সাইন্স নয়, আর্টস থেকে পড়েও এই সেক্টরে ভালো করতে পারে যদি সে আগ্রহী হয়।

নির্মাণ গুরু: পড়াশোনার শেষ পর্যায়ে যারা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নি করতে আসে তাদের অনেকের অভিযোগ যেসকল প্রতিষ্ঠান ইন্টার্নি করার সুযোগ দেয় তারা ছাত্রদের মূল কাজ শেখানো বাদ দিয়ে নানা রকম অপ্রয়োজনীয় কাজ করায়। ফলে তারা কিছু শিখতে পারে না। এ বিষয়ে আপনার মূল্যায়ন কী হবে?

চেয়ারম্যান: ইন্টার্নির ক্ষেত্রে রহিম স্টিল সম্পূর্ণ আলাদা। আমরা এখানে বছরে ১০/১৫ জনকে ১ মাস ব্যাপী ইন্টার্নি করাই, এদের সবাই এখানে কাজ শেষে চাকরি নিয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়। কেউ কেউ আমাদের এখানেই যোগদান করে। আমরা এ ব্যাপারে আন্তরিক। ফলে অনেকেই রহিম স্টিলকে ইন্টার্নি হাউজ বলে।

নির্মাণ গুরু: আপনার মূল্যবান সময় আমাদেরকে দেয়ায় আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ স্যার।

চেয়ারম্যান: নির্মাণ গুরুকেও ধন্যবাদ।

0