বিশ্বের প্রথম গ্লাস মিউজিয়াম
আয়না শুধু চেহারা দেখার জন্য নয়। আয়না’ও হয়ে উঠতে পারে সাধারণের জন্য দর্শনীয় বস্তু। এমনকি শিক্ষার্থীদের কাছে গবেষণার বিষয়ও। আর এ ধারণা থেকে শিল্পোন্নত দেশ জাপান তৈরি করেছে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র গ্লাস মিউজিয়াম। রাজধানী টোকিওতে প্রতিষ্ঠিত এ জাদুঘরে স্থান পেয়েছে আয়না দিয়ে তৈরি অন্তত ৪শ’ উপকরণ।
গ্লাস মিউজিয়াম বলেই হয়তো এর সব কিছুই গ্লাসের তৈরি। ভবন থেকে শুরু করে উপরে ওঠার যে সিঁড়ি তাও আয়নার। জাদুঘরে স্থান পাওয়া নানা উপকরণই বলে দিচ্ছে জাপানীরা যে কোনো কাজে আয়না ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতোটা এগিয়ে রয়েছে। কি নেই এ আয়নার যাদুঘরে।
শীত মৌসুমে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচার জন্য যেমন রয়েছে বিশেষায়িত আয়না। তেমনি দিনের আলো’র ব্যবহারের পাশাপাশি তাপ প্রতিরোধক আয়নাও রয়েছে এখানে। গুলিতে অটুট থাকবে এ ধরণের আয়নাও রয়েছে এ জাদুঘরে।
ভবন সংশ্লিষ্ট এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে ৪শ’র ও বেশি ধরণের কাঁচের উপকরণ রয়েছে। কাঁচ এখন বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এ বিষয়টি মাথায় রেখে এজিসি জাদুঘর তৈরি করে যাচ্ছে।’
ভবন সংশ্লিষ্ট এক নারী বলেন, ‘জাদুঘরে তাপ প্রতিরোধক গ্লাসের পাশাপাশি সৌর বিদ্যুত উৎপাদন করতে পারে এমন গ্লাসও রাখা হয়েছে। পরিবেশের দিক মাথায় রেখেই গ্লাস তৈরি হচ্ছে এখানে।’
বিশ্বখ্যাত গ্লাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জাপানের আশাহি গ্লাস কোম্পানী টোকিওতে নিজস্ব উদ্যোগেই তৈরি করেছে এ গ্লাস মিউজিয়াম। অন্যান্য দেশের গ্লাস ব্যবসায়ীরাও আসেন এ জাদুঘর
দেখার জন্য।
ভবন সংশ্লিষ্ট এক নারী বলেন, ‘বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকরা গ্লাস জাদুঘর দেখতে আসে। তারা এসে খুব মজা পায়।’
ভবন সংশ্লিষ্ট আরেক নারী বলেন, ‘গ্লাস নিয়ে এখানে গবেষণা করা হয়। আর গবেষণার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়েই এ জাদুঘর গড়ে তোলা হয়েছে।’
পৃথিবীর মোট চাহিদার ৫০ শতাংশ গ্লাস সরবরাহ করে আশাহি গ্লাস কোম্পানী। এর মধ্যে রয়েছে ভবনে ব্যবহৃত ফ্লোট গ্লাস, যানবাহনে ব্যবহৃত অটোমোটিভ গ্লাস এবং মোবাইল, স্মার্ট ফোন ও ট্যাবে ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক্স গ্লাসও।