যে বিষয়গুলো মনে রাখবেন এসি কেনার আগে


বৈশ্বিক উষ্ণতা দিন দিন বেড়ে চলায় প্রতিনিয়ত অসহনীয় হয়ে উঠছে আবহাওয়া। বিশেষ করে, শহর ও শিল্পাঞ্চলগুলোতে সড়ক, বিভিন্ন স্থাপনা, যানবাহন ও কলকারখানা থেকে নির্গত উত্তাপ আর প্রকৃতির খরতাপের মিশেলে জীবনযাপন অসহ্য হয়ে উঠছে প্রতিনিয়ত। গ্রীষ্মের আগমনে এখন আর শুধুমাত্র অস্বস্তিই নয় অসুস্থতাই যেনো আমাদের নিত্যসঙ্গী। এ অবস্থায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র এখন আর বিলাসিতা নয়, পরিণত হয়েছে প্রয়োজনীয় চাহিদায়। 
এসি’র দাম এখন একেবারেই নাগালে। বর্তমানে, ব্র্যান্ড ও মানভেদে বিভিন্ন দামে এসি পাওয়া যাচ্ছে। এ বছর গ্রীষ্ম ও রমজানের আগমনে সিঙ্গার বাংলাদেশের বিভিন্ন মডেল ও সাইজের এসির ক্ষেত্রে দিচ্ছে আকর্ষণীয় মূল্যছাড়।

তবে মূল্যছাড় কিংবা ব্র্যান্ডমুগ্ধতা থেকে চট করে এসি না কিনে এসি কেনা দরকার বুঝে শুনে। তাতে যেমন বাঁচবে বিদ্যুৎ বিল তেমনি ঠিকভাবে ঠান্ডা হবে ঘর। ফলে এসি কেনার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় বিবেচনা করা ভীষণ জরুরি।

১) প্রথমেই মাথায় রাখতে হবে এসিটি চলতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে কতোটা। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হওয়ার ওপর নির্ভর করে এসির দাম। অনেক সময় একই ব্র্যান্ডের একই টনেজের দুটো ভিন্ন এসির দামে হয়তো অনেক বেশি তফাৎ থাকতে পারে। এক্ষেত্রে বিদ্যুৎসাশ্রয়ী মডেলটির দাম অন্যান্য মডেলের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়। তাই কেনার সময় দাম বেশি পড়লেও ভবিষ্যতে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ খরচের কথা মাথায় রেখে যতো বিদ্যুৎসাশ্রয়ী এসি কিনবেন, ততোই আপনার পকেটের পক্ষে মঙ্গলজনক।

২) যতো বড়ো এসি, ততো ঠান্ডা হবে ঘর, হিসেবটা এত সোজা নয়। যদি মনে করে থাকেন যে একটি ছোটো ঘরকে ঠান্ডা রাখতে এসি কিনতে হবে দৈত্যাকার আকারের তবে ভুল ভাবছেন। ঘরের মাপ অনুযায়ী কতো টনের এসি প্রয়োজন তার একটি তালিকা রয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বড় এসি কিনলে ঘর ঠিকঠাক ঠান্ডা হবে না। তাই মনে রাখতে হবে, ঘরের মাপ অনুযায়ী এসির টনেজের এই মাপটি। ঘরের মাপ ১২০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ০.৭৫ টন, ১২১ থেকে ১৫০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ১ টন, ১৫১ থেকে ২৫০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত ১.৫ টন ও ২৫১ থেকে ৪০০ স্কয়ার ফিট পর্যন্ত প্রয়োজন ২ টন বা তার বেশি আকারের এসি। যদি এর থেকেও বড় ঘরের জন্যে এসি প্রয়োজন হয় তবে, বড় কোনো ব্র্যান্ডের শো-রুমে গিয়ে কথা বললে তারাই বলে দেবে কোন মাপের এসিটি আপনার চাহিদা পূরণ করবে।

৩) এখন প্রায় সবখানেই উইন্ডো এসির স্থলে স্পিল্ট এসি লাগানো হয়। এ এসিগুলো উইনডো এসির তুলনায় অনেকটাই কম জায়গা দখল করে। তাছাড়া অপেক্ষাকৃত বড় আকারের ঘরের ক্ষেত্রে উইন্ডো এসির চেয়ে স্পিল্ট এসি ব্যবহার করাই সুবিধাজনক।

৪) আপনার যদি বাজেট বাড়াতে খুব একটা সমস্যা না হয়, তবে চেষ্টা করুন রিভার্স সাইকেল এসি কিনতে। যাতে গরমকালে ঠান্ডা হাওয়া আর শীতকালে গরম হাওয়ার সুবিধা পান। তাছাড়া শীতকালেও এসি চালু থাকে বলে ভেতরের যন্ত্রাংশ ভালো থাকে। এগুলোর দাম সাধারণ এসিগুলোর তুলনায় কিছুটা বেশিই।

৫) পুরো বাড়ি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসা বেশ খরচ সাপেক্ষ। সেক্ষেত্রে মাস্টার বেডরুমের জন্য একটি স্পিল্ট এসি কিনে সঙ্গে আর একটি পোর্টেবল এসি কিনে নিন যা এক ঘর থেকে আর এক ঘরে সহজেই তুলে নিয়ে যাওয়া যাবে। পোর্টেবল এসিগুলির দাম তুলনামূলক কম হয়ে থাকে।

৬) যে এসি কিনছেন তাতে যেনো একটি অ্যাডজাস্টেব্ল থার্মোস্ট্যাট, দু’টি কুলিং স্পিড এবং অন্ততপক্ষে দু’টি ফ্যান স্পিড থাকে যাতে ঘরের তাপমাত্রা অনুযায়ী ইচ্ছেমতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় ঠান্ডা।

৭) বিক্রয়োত্তর সেবা যেকোনো হোম অ্যাপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এসি কেনার আগে সেই ব্র্যান্ডের বিক্রয়োত্তর সেবা কতোটা ভালো সে বিষয়ে ভাল করে খোঁজ খবর করে নেয়া উত্তম।

৮) বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকলে যে সমস্ত এসির কয়েল অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি সেই সমস্ত এসি না কেনাই ভাল। অ্যালুমিনিয়াম কয়েলে খুব তাড়াতাড়ি মরচে ধরে, গ্যাস লিক করতে থাকে এবং ঘর ঠান্ডা হয় না। তাই সব সময় কপার কয়েলের এসি কেনাই বুদ্ধিমানের কাজ। যেকোনো আবহাওয়াতেই নিরাপদ থাকবে কপার কয়েলের এসি।

এ ব্যবেস্থা মেনেই এই গরমে সিঙ্গার দিচ্ছে নির্দিষ্ট ২৭টি ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডে বিনা সুদে মাসিক ১২টি কিস্তিতে এসি ক্রয়ের সুযোগ। যাদের ক্রেডিট কার্ড নেই তারা ভাবছেন কি করবেন? আপনাদের কথা ভেবেই সিঙ্গার বাংলাদেশ ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই দিচ্ছে সহজ শর্তে কিস্তিতে এসি কেনার সুবর্ণ সুযোগ।

0